রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মাইনুল ইসলাম নামে এক এএসআই (উপ-পরিদর্শক) আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনার পর ধাওয়া করে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত যুবকরা হলেন- মহানগরীর কয়েরদাঁড়া এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে আমির হোসেন (২০), মহানগরীর সপুরা পবাপাড়া এলাকার রণজিৎ হালদারের ছেলে অভিজিৎ হালদার রিংকু (২৪), সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া এলাকার এমাজ উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (১৮)।
এর মধ্যে রিংকু রাজশাহী কলেজের বিবিএস (ডিগ্রি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মোবারক টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের দশম শ্রেণির ছাত্র ও আমির নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি ফোর্স নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই মাইনুল ইসলাম। দুপুর ১২টার কাছাকাছি সময়ে তিন যুবক রিকশায় চড়ে সাহেব বাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাদের রিকশা থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
ওসি আরও জানান, যুবকদের তল্লাশিকালে হঠাৎ একজন ছুরি বের করে এএসআই মাইনুলের হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদেরকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে পুলিশ সদস্যরা। পুনরায় দেহ তল্লাশি করে তাদের কাছে আরও একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, 'আটককৃত শিক্ষার্থীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা ছিনতাইকারী দলের সদস্য নাকি অস্ত্র চোরাচালানে জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'