ঢাকা: ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ আত্মপ্রকাশ করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন ছাড়াও মাদক নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই এলিট ফোর্স।
সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এই বাহিনী এখন পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত মামলা/অভিযোগে গ্রেফতার করেছে মোট ৭১ হাজার ৮৬০ জনকে। আর অতিসম্প্রতি র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ৩১ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিশেষ বাহিনীটি এখন একটি আতঙ্কের নাম।
র্যাব থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মিয়ানমার থেকে আসা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া মাদকের নাম ইয়াবা ট্যাবলেট। বিশেষ অভিযান কিংবা নিয়মিত অভিযানে মোট ২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৯০ পিস উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাবের মাদকদ্রব্য উদ্ধারের তালিকায় স্থান পেয়েছে সব ধরনের মাদক। বিভিন্ন অভিযানের সময় র্যাব হেরোইন উদ্ধার করেছে ৫০৫. ১৭৮ কেজি, ফেন্সিডিল ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৬ বোতল, বিদেশী মদ ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ বোতল, দেশি মদ ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৫৯৮ লিটার, গাঁজা ৭৬ হাজার ৯৪৩ কেজি, কোকেন ২৯ হাজার ৭৯৯ কেজি, আফিম ৩৩ হাজার ৭৯৯ কেজি, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৫ টি। এই উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় ২ হাজার ২শ ৩৪ কোটি টাকা।
বার্তা২৪.কমের সংগৃহিত র্যাবের এক তালিকা থেকে এমন তথ্য উঠে আসে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে র্যাব এখন পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছে ৮৩৭টি। এসব অভিযানে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ১,০২৬ জন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা।
এছাড়া, এই বিশেষ অভিযানের সময় গুলিবিনিময়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জন মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় র্যাব-৭ এর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' সর্বাধিক ৭ জন নিহত হয়। এছাড়া র্যাব-৫’র সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ৫ জন, র্যাব ৬’র সঙ্গে ৪ জন, র্যাব ১২’র সঙ্গে ৩ জন, র্যাব ৪’র সঙ্গে এক রাতেই ৩ জনসহ আলাদা আলাদাভাবে মোট ৩১ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন।
র্যাব সূত্র থেকে জানা যায়, দেশ থেকে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলতে থাকবে।