ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিসের লার্ভা ধ্বংসে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ১০ দিনব্যাপী এই অভিযানে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ছিল নবম দিন।
ডিএনসিসি'র ৩৬ ওয়ার্ডের ১০ হাজার ৮৪০টি বাড়িতে সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে ১২৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের লার্ভা খুঁজে পায় আদালত। লার্ভা পাওয়া ওই সব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়।
এছাড়া ৬ হাজার ১৩৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান খুঁজে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী এ সকল স্থান ধ্বংস করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরগণ ‘চিরুনি অভিযান’ সক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধান করছেন।
গত ২৫ আগস্ট থেকে গত ৯ দিনে ৩৬ ওয়ার্ডে সর্বমোট ৯৪ হাজার ৮০০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মোট ১ হাজার ৮০৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পায় তারা। এ ছাড়া ৫১ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ দল। সেসব স্থানগুলো ধ্বংস করতে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।
এদিকে, এডিস মশা নির্মূলে মিরপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২টি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে জমা পানিতে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়ায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি। এছাড়া তিনি ইতোপূর্বে সতর্ক করা ২২টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সেখানে কোনো এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।
এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির 'চিরুনি অভিযান' ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।