সাংবাদিক মামুনুর রশিদের নামে সড়ক হবে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়ায়।
মামুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে স্মরণসভা করেন তার সতীর্থ ও সহকর্মীরা।
লোহাগড়ার সংসদ সদস্য জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সড়কের আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্মরণসভায় জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে মামুন যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা বর্তমান সময়ে সবার জন্য শিক্ষণীয়। মামুন যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে সাংবাদিকতা করতেন তাও শিক্ষণীয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ‘মামুন আমার ছাত্র ছিল। তার মতো হাসিমুখের একজন ছেলে এত তারাতারি চলে যাবে, ভাবা যায় না।’
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল একুশে টেলিভিশনে মামুনের বিভিন্ন কার্যক্রমের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘মামুন যে পর্যায়ে যেভাবে সাংবাদিকরা করতো, চাইলে সহজেই অনেক টাকার মালিক হতে পারত। কিন্তু তার মাঝে সেই চিন্তাই ছিল না। তার মৃত্যুর পর ব্যাংক একাউন্টে মাত্র কয়েক হাজার টাকা ছিল। একজন বড় মাপের সাংবাদিক হওয়ার গুণ ছিল তার মধ্যে।’
আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল সাংবাদিক মামুনের স্মৃতিকে ধরে রাখতে যে কোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের উপ দফতর সম্পাদক নাসিম রূপক, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং মামুনের স্বজন ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।
লোহাগড়ার সন্তান মামুনুর রশিদ ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ৩৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা মামুন তখন একুশে টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে এশিয়ান টিভি ও বাংলাভিশনেও কাজ করেছেন মামুন।