মুজিববর্ষে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় প্রশিক্ষিত হবেন ১৪ হাজার মানুষ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 10:30:10

মুজিববর্ষে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় স্বল্প শিক্ষিত ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রতি ব্যাচের মেয়াদ হবে ৩৬০ ঘণ্টা বা দুই মাস। কোর্সে যারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন তাদের বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। এ সময় সারাদেশের জেলা প্রশাসক অফিস ও বিভিন্ন ইউএনও অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, 'বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব গবেষক আছেন তারা কল্পনাও করতে পারেননি এই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এত অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করার জাতি, আমরা ৯ মাস যুদ্ধ করে একটি দেশকে স্বাধীন করেছি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে দেশকে সামনে নিয়ে যেতে পারব।'

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা নিজের এলাকায় বসে প্রশিক্ষণ নেবেন। এরপর কাউন্সিলিং শুরু হবে, দেখা হবে প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা কী করতে পারে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে, সেটা জনশক্তি রফতানি হোক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হোক। এ সুযোগগুলোকে আরও বেশি জানাতে পারলে তারা আরও আগ্রহী হবে। যেকোনো জ্ঞানের অন্বেষণ বৃথা যায় না।'

মুজিববর্ষে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় প্রশিক্ষিত হবেন ১৪ হাজার মানুষ

তিনি বলেন, 'মানুষের সেবা করাই আমাদের ধর্ম। সবাই সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষের কাছে গেলে আমাদের মধ্যে হৃদ্যতা হবে, যেটা সমাজের মঙ্গল করে। দুই মাসের প্রশিক্ষণে সবাই লাভবান হবেন। আমরা মুজিব বর্ষকে আরও সুন্দরভাবে পালন করব। যাতে বঙ্গবন্ধু বেহেশতে বসে দেখতে পারে দেশটা করা বৃথা হয়নি।'

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়াস দক্ষ জনগোষ্ঠী। বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা করছি। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি বছর প্রায় ৭০ ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্যের পেছনে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।'

তিনি বলেন, 'বিদেশেও আমরা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাচ্ছি। আধুনিক ও বড় প্রকল্পগুলো আসছে। সেগুলো চালানোর জন্যও দক্ষ লোক দরকার, সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী যারা কাজ করবেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তাদের আধুনিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা গেছে। আগে মাসের পর মাস লাগতো বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে, এখন আমরা সাতদিনের মধ্যে সেটি নিয়ে এসেছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে একদিনেও সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকরাও এখন সচেতন হয়েছেন।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী দরকার। আমরা বড় প্রকল্প নিয়েছি, প্রায় ৩০ একর জমির উপর পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট করব। এই প্রশিক্ষণ বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ হবে আশা করি। রিয়েল স্টেট ইনস্টিটিউটের যারা কাজ করছেন, তারাও তাদের লোকজন পাঠাতে পারে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য। ভাষাগত প্রশিক্ষণও ভালো দিক, বিভিন্ন ভাষাভাষী ইঞ্জিনিয়ার ও বিনিয়োগকারীরা দেশে আসছে, তাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ড আপের জন্য ভাষার প্রশিক্ষণ দরকার।'

এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর