পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা চাই না। কেউ যদি অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি করতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। অথবা জাতিসংঘের মাধ্যমে তাদের বোঝাব। আমাদের মূলনীতি হলো সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখব, কারোর সঙ্গে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শত্রুতা করব না।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোটেল লেকশোরে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রয়োজন আছে। আমাদের সরকার জাতিসংঘের কাছ থেকে অনেক উপকার সহায়তা পেয়েছে। বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। আমাদের কয়েকশ শান্তিরক্ষী সদস্য প্রাণও দিয়েছেন। তাদের আমি স্যালুট জানাই।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের মানুষ ভারতে থাকবে, মিয়ানমারের মানুষ মিয়ানমারে থাকবে। আমরা আমাদের দেশে থাকব। সবাই নিজ নিজ দেশে থাকবে শান্তির সঙ্গে।
জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মালোক ব্রাউন বলেন, সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ কাজ করছে। সিরিয়া-ইরাকের শান্তি ফিরিয়ে আনতে নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মূলনীতি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের উপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত আছে। জাতিসংঘও চায় এ সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু এক্ষেত্রে মিয়ানমার সহায়তা করছে না। তবে বাংলাদেশ এই ইস্যুতে উদারতার পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, শিগগিরই রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান হবে।
সংলাপে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
কসমস ডায়ালগ ডিস্টিংগুইশ স্পিকার’স লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় অংশ নেন।