সঠিক জায়গায় অর্থ ব্যয় না হলে ক্ষতি হতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 02:38:20

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, 'আমাদের সম্পদের যে অভাব ছিল সেটা এখন আর নেই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন- কী বিশাল বিশাল প্রকল্প আমরা হাতে নিচ্ছি। ৩০ হাজার কোটি টাকা, ২০ হাজার কোটি টাকা, ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছি বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে। তাহলে আমাদের অর্থ আছে কিন্তু। তবে অর্থের একটা ভয় আছে যে, অর্থটা যদি সঠিক জায়গায় ব্যয় না হয় তাহলে এটা ব্যাকল্যাশ করতে পারে, ক্ষতি করতে পারে।'

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে 'অ্যাডপ্টিং ওয়াটার ক্রেডিট: মবিলাইজিং ক্যাপিটাল ফর এসডিজি ৬' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়াটার.ওআরজি (Water.org) কর্মশালাটির আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রবৃদ্ধির হার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ফলে কিছু বৈষম্যের বিষয়ও আসছে। সেই বৈষম্যের একটি বড় দিক হল পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। মোটামুটি বাসস্থানের একটি জায়গা। এসব বিষয়ে আমাদের আরও অধিক কাজ করতে হবে।'

সঠিক জায়গায় অর্থ ব্যয় না হলে ক্ষতি হতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সুপেয় পানি শতভাগ নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, 'এটি এমন এক কাজ যাতে সবাই যোগদান করতে পারে। শুনতে ভালো লাগে যে, আমরা নাকি ইতোমধ্যে ৯৮ ভাগ মানুষকে সুপেয় পানি দিচ্ছি। নাকি শব্দটা বললাম, সচেতন ভাবেই। আমাদের হাতে ক্ষমতা আছে, অর্থ আছে যা দিয়ে বাকি দুই ভাগ আমরা কাভার করতে পারি। অর্থ আমাদের হাতে থাকলেও ব্যবস্থাপনায় আমাদের কিছুটা ঘাটতি আছে। উভয়ে মিলে চেষ্টা করলে যে দুই ভাগ বাকি আছে সেটা আমরা শেষ করতে পারব। বিশাল উপকার হবে দেশের মানুষের জন্য।'

সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। আপনারা জানেন প্রতি মঙ্গলবার একনেক সভায় আমরা প্রকল্প পাশ করি। সেসব প্রকল্পের যে বিশেষ দিকটি সভাপতি হিসেবে তিনি দেখেন সেটি হল, প্রকল্পের মধ্যে কারা উপকার পাচ্ছেন? মহিলারা পাচ্ছেন, শিশুরা পচ্ছে, বয়স্করা পাচ্ছেন এ সমস্ত গভীর প্রশ্ন তিনি সেখানে উত্থাপন করেন। আমাদের জবাব দিতে হয়।'

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, 'জাতি হিসেবে একতাবদ্ধ হয়ে যদি আমরা কাজ করি তাহলে আবহমানকাল ধরে দারিদ্র্যের যে হিম শরীর সেটা ভাঙতে পারব। ভাঙা শুরু হয়েছে। এই ভাঙার সময়টা পুনর্গঠনে বেসরকারি খাতের সাহায্য সহযোগিতা আমরা চাই।'

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ওয়াটার.ওআরজি'র নির্বাহী পরিচালক সাজিদ অমিত, ওয়াটার এইডের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক খাইরুল ইসলাম, আইএনএম’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কে. মুজোরীসহ আরও অনেকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর