'শান্তির সংস্কৃতি’ কাজে লাগান: মাসুদ বিন মোমেন

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-23 20:45:52

এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনের জন্য জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সাধারণ পরিষদ হলে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এ ইভেন্টটি আয়োজন করেন ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উল্লেখ করেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র মতো আদর্শিক রেজুলেশনটি গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ। যা ছিল দেশের জন্য অত্যন্ত মর্যাদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেন এবং ওই বছরই সাধারণ পরিষদ তা এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে এবং পরে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সবার সম্মতিতে চূড়ান্তভাবে এটি (রেজুলেশন ৫৩/২৪৩) গৃহীত হয়; ভাবতে ভালো লাগে আজ আমরা যখন এ রেজুলেশনটির ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি, এমন সময়েও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ আজ প্রণিধানযোগ্য একটি ধারণা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং এর সুর জাতিসংঘের বৃহত্তর পরিসরে অনুরণিত হচ্ছে। আর এটি লক্ষণীয় যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আওতায় বেশ কয়েকটি নতুন রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। এজেন্ডা ২০৩০ এবং তার পরবর্তী সময়ে আমরা কীভাবে এ ধারণাটিকে আরও কাজে লাগাতে পারি, তা ভেবে দেখতে হবে এবং এ বিষয়ে সবাইকে আরও এগিয়ে আসতে হবে, যাতে কোনোভাবে শান্তির সংস্কৃতি ধারণাটি হারিয়ে না যায়।

এসডিজির অন্যতম উদ্দেশ্য, ‘কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না’ তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে উন্নয়নকে কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছেন। অসমতা ও সংঘাত সৃষ্টির উপাদানগুলো নির্মূলে তিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বজায় রেখেছেন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।

a

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ উচ্চ পর্যায়ের এ ইভেন্টটির সভাপতিত্ব করেন এবং এতে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।

অনুষ্ঠানটিতে অব্যাহত শান্তির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মিজ্ লেইমা জিবোয়ি এবং কি-নোট বক্তব্য দেন ঘানার আসান্তি জনগোষ্ঠীর রাজা ওতুম্ফুও ওসেই টুটু-২।

উচাঙ্গ যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্ক প্রবাসী খ্যাতনামা বাংলাদেশি সেতার বাদক ওস্তাদ মোরশেদ খান ও তবলা বাদক তপন মোদক। যা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত সবার প্রশংসা অর্জন করে। প্লেনারি সেগমেন্টে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

বিকেলে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে এ উপলক্ষে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির সমাপনী বক্তব্যও দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর