মিয়ানমার কনজারভেটিভ, কারো কথা শোনে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 06:33:54

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। ১৯৭৮ কিংবা ১৯৯২ সালেও তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ফেরত নিয়েছিল। তবে এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। ১৯৯২ সালে ২ লাখ ৫৩ হাজার ছিল। তার মধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার চলে যায়। এবার ১৩ লাখ। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তারা অত্যন্ত কনজারভেটিভ। কারো কথা শোনেনা। তবে গত কয়েকবছর যাবত বিভিন্ন আলোচনার ফলে মিয়ানমার যাদের উপর নির্ভর করে সেই চীন বা রাশিয়া এখন অনেকটাই আমাদের পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার বিশেষ করে চীনের কথা শুনে এ সংকট তৈরি করেছে। এজন্য আমরা চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। চীনের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রতিটি রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে হবে। সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজ এই রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মিয়ানমার দায়ী।  

চীনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী একবাক্যে স্বীকার করেছেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যাবশ্যক। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। শুধু বাংলাদেশ-মিয়ানমার নয়, এ অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করেছে বা যাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীন এ সংকট নিরসনে সর্বাত্মক সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারকে আমরা শর্ত দিয়েছিলাম রোহিঙ্গারা ফেরত যাওয়ার পর যেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং তারা যাতে রাখাইনে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। মিয়ানমার সে বিষয়ে রাজি হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের যে লোকগুলো আমাদের দেশে আছে, তারা তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর