আটকের প্রায় ২৪ ঘণ্টার পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাব-১ কার্যালয় থেকে তাদের গুলশান থানায় আনা হয়।
জিকে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিংয়ের তিনটি মামলা করেছে র্যাব। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা শামীমের অফিসে মাদক ও টাকার স্তুূপ
জানা যায়, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ‘শামীম ঠিকাদার’ নামে পরিচিত। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় শামীম ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় গণপূর্ত ভবনের বেশি ভাগ ঠিকাদারি কাজ করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। সেই জিকে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক।
এর আগে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।