যানজট নিরসন এবং ঢাকার ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যানবাহন চলাচল সহজ করার জন্য আউটার রিংরোড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ১৭তম সভায় এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আউটার রিংরোড নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা একটা কাঙ্ক্ষিত প্রকল্প। প্রকল্পটি ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২৩ সালে শেষ হবে। প্রকল্পটি জাপানি জি টু জি ভিত্তিক পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, এটি হয়ে গেলে ঢাকা শহরে চারপাশ আমরা বৃত্তাকারে ঘুরতে পারব। প্রকল্পটির মোট পরিমাণ হচ্ছে ১৩৪ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৪৮ কিলোমিটারের অনুমোদন আজ দেয়া হয়েছে। ৪৮ কিলোমিটারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গছে, ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। পূর্ব-পশ্চিম দিকের তুলনায় উত্তর-দক্ষিণে বর্তমানে যান চলাচল ও সড়কের সংখ্যা বিবেচনায় যানবাহনের অত্যধিক চাপের কারণে ঢাকা মহানগরীর যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সরকারের শাসনামলে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের অত্যধিক চাপ সামলানোর জন্য ঢাকা সিটিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত আউটার রিং রোডের এলাইনমেন্টের কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত রুটটি হচ্ছে-হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা ইপিজেড)-হেমায়েতপুর। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক উন্নয়ন করতে হবে।