জলবায়ু ইস্যুতে সরকারের দ্বিমুখী অবস্থান: আনু মুহাম্মদ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-27 03:00:56

সরককার একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনে আন্তজার্তিকভাবে তহবিল সংগ্রহ করছে। অন্যদিকে জলবায়ু বিপর্যয়ের নানা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পরিবেশ বিপর্যয়ে আঞ্চলিক ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জলবায়ু মোকাবিলা তহবিলের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে। এই টাকা কীভাবে ব্যবহার হবে সেই দিকে আমাদেরকে নজর রাখতে হবে। বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যাবে এবং এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়াকে ঠেকানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ সঠিক রাখতে হবে। নদী খাল-বিলের পানির অবাধ প্রবাহ রাখতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এর উল্টো করছে। দেশের সমস্ত নদীর দূষণ করা শেষ হয়েছে। নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের নামে অবাধ নদী প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে আবদ্ধ জলাশয়ে পরিণত করা হচ্ছে। ফলে নদী যেখানে আমাদের সুস্বাস্থ্য হওয়ার কারণ ছিল সেখানে নদী আমাদের অসুস্থতার কারণ হচ্ছে। ঢাকার শহরের আশেপাশে নদী দূষণমুক্ত থাকলে অর্ধেক রোগ থেকে আমরা রক্ষা পেতাম।’

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘যারা নদী দখল করছে এবং দূষণ করছে তাদেরকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নদী দূষণের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে সংগ্রাম করছে তাদেরর বিরুদ্ধে পুলিশ হামলা করছে, মামলা করছে, আটক করছে, গুম করছে, বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা করছে।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা যদি বেড়ে যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ে পড়বে উপকূলীয় অঞ্চল। উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করতে যা যা করা দরকার সেটা করা সরকারকে প্রথম কাজ। কিন্তু সরকার সেটা না করে কক্সবাজার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সমস্ত উপকূল জুড়ে একের পর এক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করছে না সরকার।’

বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমনে সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সায়েন্স কমিউনিকেটর চেয়ারম্যান অধ্যাপক শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর