ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী ও মাঝারী বৃষ্টি হয়েছে। উপকূলে টানা দু'দিনের ঝড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টিতে নাকাল জনজীবন। ঝড়োবৃষ্টিতে সমুদ্রে সাতটি ট্রলার ডুবি এবং পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এখনো ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পনের জন রোহিঙ্গা শরণার্থী আহত হয়েছেন।
ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও ভারী বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে। সেখানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয় বালুখালীসহ নিচু এলাকার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। কুতুপালং মধুরছরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল বসর, ইব্রাহিম, মুহাম্মদ ছিদ্দিক, ইউনুছ ও আয়াছসহ বেশ কয়েক জনের ঘর বাতাসে উড়ে যায়। আবার অনেকের ঘর দেবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা স্বজনদের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজাম্মান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, কুতুপালং ক্যাম্পের ডি-ফোর এবং ডি-সেভেন ব্লকে ঝড়ো বাতাস ও পাহাড়ধসে অর্ধশতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
উত্তাল সমুদ্রে সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। বাতাসের তোড়ে প্রায় দেড় শ জেলে কক্সবাজারের উপকূলে ভেসে এসেছে। এদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ঢাকার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী নিম্নচাপে রূপ নিয়ে সন্দ্বীপ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সীতাকুণ্ডের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া সূত্র জানায়, ঝড়ো হাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।