খুলনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেস্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা | 2023-08-25 06:52:18

খুলনায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে খুলনা নগরীর শিরোমণি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তিনি বের হয়ে যাওয়ার পর কার্যালয়ে আর কেউ ছিলেন না। এ ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো তাৎক্ষনিকভাবে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ঘটনার পরপরই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র‌ে জানা যায়, মাগরিবের নামাজের সময় শিরোমণি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই কার্যালয়ে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছু সময় পর কার্যালয়ের মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। কার্যালয়ের মধ্যে থাকা চেয়ার, টেবিল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে লোহার টুকরো, কাঁচের ভাঙা বোতল, তারসহ কিছু আলামত দেখা গেছে।

ঘটনার সময় কার্যালয়ের পাশে ছিলেন শিরোমণি উত্তরপাড়ার সুমন গাজী। তিনি বলেন, প্যান্ট পরিহিত মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে একটি ব্যাগ রেখে টয়লেট করার কথা বলে বাইরে চলে যায়। এর কিছু সময় পরই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ওই ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শিরোমণি এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি একটি ব্যাগ রেখে চলে যান। এর ১০ মিনিট পর বিকট শব্দে ব্যাগের মধ্যে থাকা বোমা বিস্ফোরিত হয়। তখন দলীয় কার্যালয়ে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি জানান, বোমাটি কী ধরনের ছিল তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এদিকে খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় সঞ্জিত পাল নামে একজন নিহত ও প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর