চট্টগ্রাম শহরে মিলেছে এমন এক প্রজাতির মশার সন্ধান, যে কিনা ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা খেয়ে ফেলে। এই মশার নাম ‘টক্সোরিনসাইট’, যা ‘হাতি মশা’ নামেও পরিচিত। এছাড়া ‘মসকুইটো ফিশ’ বা ‘মশা মাছ’ নামে এক প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে, যেগুলো নালা-নর্দমায় বা দূষিত পানিতে জন্ম নেয়া রোগ-জীবাণুবাহী মশাগুলো খেয়ে ফেলে।
নগরীর জীববৈচিত্র্যের ওপর পরিচালিত এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষক দল শহরের এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ‘টক্সোরিনসাইট’ প্রজাতির খাদক মশা বৃদ্ধি এবং ‘মশা মাছ’ বৃদ্ধির বিষয়ে আরও ব্যাপক গবেষণার উপর জোর দেয়।
নগরীর জীববৈচিত্র্যর তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে ‘জীববৈচিত্র্য জরিপ ও সংরক্ষণ-২০১৮’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ গ্রুপ অব বাংলাদেশ (বিআরজিবি) যৌথভাবে এ জরিপ চালায়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণাধর্মী জরিপ পরিচালিত হয়। রোববার (৬ আক্টোবর) চট্টগ্রাম মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের হাতে এ জরিপের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
বিআরজিবি প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. বদরুল আমিন ভূইয়া বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুল্কবহর ওয়ার্ডে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এখানে ম্যালেরিয়া বাহক ‘অ্যানোফিলিস’ প্রজাতির মশা পাওয়া যায়নি। তবে এডিস ও কিউলেক্স প্রজাতি রেকর্ড করা হয়। নালা-নর্দমায় মশা মাছ পাওয়া গেছে। এছাড়া টক্সোরিনসাইটকে এডিস মশার লার্ভা খেতে দেখা গেছে। শহরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ‘টক্সোরিনসাইট’ প্রজাতির মশা ব্যবহার করা যায় কী না, আরও গবেষণার প্রয়োজন। আমরা রিপোর্টে কিছু সুপারিশও করেছি। আশা করছি, সিটি করপোরেশন সেগুলো বাস্তবায়ন করবে।’