ঢাকা: কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষায় হাজারো যাত্রী। সড়কপথেও ঢাকা ছাড়ছেন কয়েক লক্ষ। নাড়ীর টানে শিকড়ে ফেরা মানুষের চাপে শেষমুহুর্তে জট সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা চট্টগ্রাম, গাজীপুর টাঙ্গাইল মহাসড়কে।
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রেন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নিয়ে ছুটছে গন্তব্যে। এদিকে সদরঘাটে অন্যান্য বারের মতো ভিড় নেই। তবে বিকেল থেকে চাপ বাড়তে পারে বলে সদরঘাট লহ্ছ কর্মকর্তারা।
ঈদ যাত্রার বৃহস্পতিবারও (১৪ জুন) সকালের ট্রেনের ছাদে যাত্রীদের উঠানো আটকানো যায় নি। সুন্দরবন এক্সপ্রেস থেকে ৫০০ যাত্রীকে নামিয়ে আনা হলেও পরে আবার তার উঠে যায়।
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কয়েকটি ট্রেনের এরই মধ্যে কোচ ড্যামেজের ঘটনা ঘটেছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শিতাংসু চক্রবর্তী জানান, স্টেশনে কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এটা অমানবিক। আবার ছাদে যাত্রা নিষিদ্ধ। তারপরও হাজার হাজার লোক ছাদে উঠে যায়। সব মিলে এ সময় পরিস্থিতি হাতে থাকে না।
এদিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম রাজশাহী খুলনার স্টেশনে ভিড় জমেছে। ঢাকা রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল (লালমনিহাট) এটিএস সাজ্জাদ হোসেন জানান, টিকিট দিতে গিয়ে প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়েছেন তারা। এরেই মধ্যে ঈদ ফেরত যাত্রীদের টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইন জমেছে'।
নতুন লালমনি এক্সপ্রেসের সবগুলো কোচ চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে কমলাপুর থেকে যাতায়তকারী লালমনি এক্সপ্রেসের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। ফলে নির্ধারিত কোচে আসন না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে।