বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ থেকে ১১ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মধ্য দিয়েই এই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ তথ্য জানান।
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, এবছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ”। কেন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং কোন কোন এলাকার মানুষ বেশি আত্মহত্যা করে এর সঠিক কারণ নির্ণয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। মন সুস্থ না থাকলে কোনো কাজ ভালোভাবে করা যায় না। মানসিক স্বাস্থ্যকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগকেও সমভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক রোগীকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। আত্মহত্যা জীবনের সব চাইতে বড় পরাজয়। মানসিক রোগীর প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতার মাধ্যমে ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সমভাবে গুরুত্ব দিয়ে আত্মহত্যাকে প্রতিরোধ করতে হবে।
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দীন কাউসার বলেন, ১৯৯২ সালে বিশ্বের ১২৭টি দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন শুরু হয়। এবারের প্রতিপাদ্য “মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতি ১ থেকে ২ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ থেকে ১১ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। বর্তমানে ১৪ থেকে ২৯ বছরের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বয়সের মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হলো আত্মহত্যা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহারসহ শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।