স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ২

রাজশাহী, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী | 2023-08-30 17:47:29

রাজশাহীতে বালু উত্তোলনের ড্রেজার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক জুবায়ের হাসান জনি (২৭) গুলিবিদ্ধ এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য সুজন আলীকে (২৮) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত জনি ফুলতলা এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে এবং সুজন একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাদেরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যৌথভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ব্যবসার জন্য ২০১০ সালে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আব্দুস সাত্তার স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীর কাছ থেকে বিনিয়োগ হিসেবে টাকা নিয়ে ড্রেজার ক্রয় করেন। পরে বালু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা আব্দুস সাত্তারের কাছে টাকা ফেরত চান। তবে তিনি তা পরিশোধ করতে পারবেন না বলে জানান।

ফলে ড্রেজারটি দীর্ঘদিন পড়েছিল। চলতি বছর ড্রেজারটি চালু করে বালু তোলার উদ্যোগ নেন বিনিয়োগকারী কয়েকজন। তবে আব্দুস সাত্তার তাতে বাধা দেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ২৮ নম্বর পশ্চিম ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জুবায়ের হাসান জনি (২৭), যুবলীগ সদস্য সুজন আলীসহ (২৮) কয়েকজন ড্রেজারটি দেখতে যান।

এদিকে, ড্রেজার চালু করার চেষ্টা করার খবরে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তারে ছেলে টনি, ডনিসহ ২০/২২ জন সেখানে যান। তারা ড্রেজারে থাকা জনি, সুজনসহ অন্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। জনির পায়ে গুলি লাগলে তিনি ড্রেজার থেকে পড়ে যান। অন্যরা পালিয়ে গেলে যুবলীগ সদস্য সুজনকে হামলাকারীরা ধরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুবায়ের হাসান জনি বলেন, ‘আমরা ড্রেজার চেক করতে গেছি শুনে আব্দুস সাত্তার তার ছেলে টনি ও ডনিকে পিস্তল দিয়ে পাঠায়। তার সঙ্গে আরও অন্তত ২০ জন এসে আমাদের মারধর করে। এরপর তারা আমাদের উদ্দেশে তিনটি গুলি ছোঁড়ে, যার একটি আমার পায়ে লাগে।’

এ বিষয়ে জানতে আব্দুস সাত্তারের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নগরীর মতিার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ফুলতলা এলাকায় ড্রেজার নিয়ে বিবাদের ঘটনা শুনেছি। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় গোলাগুলির বিষয়টি অবগত নয়। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর