এবার মুচলেকা দিতে হবে বিজিএমইএকে

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-28 01:45:20

সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পের ‘ক্যান্সার‘ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন বিবেচনা করার জন্য শর্ত  দিয়েছেন উচ্চ আদালত। শর্তটি হচ্ছে- পোশাক শিল্প মালিকদের এই সংগঠন ভবন ভাঙার জন্য ভবিষ্যতে আর কখনো সময় চাইবে না- এমন মুচলেকা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার বিজিএমইএকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। বিজিএমইএ মুচলেকা দিতে রাজি হওয়ায় আদালত এদিন আদেশ দেননি। বিচারক বলেছেন, বিজিএমইএ মুচলেকা জমা দিলে তারপর তাদের সময়ের আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। আদালতে বিজিএমইএ-এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বেআইনিভাবে ওই ১৬ তলা দালান তোলে বিজিএমইএ। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত ওই ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিল হাই কোর্ট। ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলে। সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গতবছর ২৩ অগাস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ। আপিল বিভাগ তখন ভবনটি ভাঙতে আরও সাত মাস সময় দেয়, যা আগামী ১২ এপ্রিল শেষ হবে। ওই আদেশে আদালত বলে, এটাই শেষ সুযোগ, আর সময় দেওয়া হবে না। কিন্তু গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আবারও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে, যার ওপর রোববার শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখা হয়। সেদিন শুনানিতে বিজিএমইএ-এর আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতকে বলেন, “মাই লর্ড, মৃত্যুদণ্ডের আসামিও শেষ আবেদন করতে পারে। আমরাও এই সুযোগটি চাচ্ছি।” এরপর মঙ্গলবার আদেশ না দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, বিজিএমইএ-এর আবেদন বিবেচনা করা হবে যদি তারা মুচলেকা দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর