ওয়াপদা বেড়িবাঁধে ধস, ১০ হাজার পরিবার হুমকিতে

, জাতীয়

লক্ষ্মীপুর করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 04:57:47

লক্ষ্মীপুর: প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মাণ করা তিন কিলোমিটার ওয়াপদা বেড়িবাঁধে ধস নেমেছে। গত ৩ বছর যাবৎ এর ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের এই বেড়িবাঁধটির আশপাশে বসবাসরত অন্তত ১০ হাজার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। দ্রুত বেড়িবাঁধটি পুনর্নির্মাণ না করলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। ফলে বাঁধটির কিছু কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখন যান চলাচল প্রায় বন্ধ। মাঝেমধ্যে দুই একটি সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চলাচল করে। তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। 
 
এদিকে বেড়িবাঁধটি কোনো রকম টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য জায়গা থেকে গাছপালা কেটে এনে ভাঙন রোধের চেষ্টায় কাজ করছে স্থানীয়রা।
 
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াপদা বেড়িবাঁধের আশপাশে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার পরিবার এ পথে চলাচল করে। এছাড়াও ওয়াপদা বাজার থেকে দিঘলী হয়ে এ পথেই মাইজদী পর্যন্ত রাস্তা থাকায় দূর-দূরান্তের মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা একসময় বেড়িবাঁধটির উপর দিয়েই চলাচল করতো। গত তিন বছর যাবৎ এতে ধস নামায় মানুষজনের চলাচল কমে যায়। এতে স্থানীয়রা পড়েছে চরম ভোগান্তির মুখে। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে চলাচলে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
 
এছাড়াও গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, ওয়াপদা বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম ডুবে যাবে। চাষাবাদের জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা। 
 
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি চেষ্টা করছি ঈদের পরেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে বেড়িবাঁধটি সংস্কার করার ব্যবস্থা করতে।’
 
তবে এ ব্যাপরে খোঁজ নিয়েও সংশ্লিষ্ট জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
 
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাজাহান আলী জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর