ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে বিভিন্ন উপজেলায় এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে আম চাষিদের।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে জেলা সদর, হরিণাকুণ্ডু, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরে এ বছর ২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে এ বছর আমের ভালো ফলন হয়েছে।
কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রামে চাষ হয়েছে ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ ও আম্রপালি জাতের আম। ফজলি আম গাছও আছে স্বল্প সংখ্যক। এবার আমের অফ ইয়ার হলেও আবহাওয়ার কারণে বিলম্বে মুকুল আসে। অধিকাংশ আম গাছ মুকুলে ডেকে যায়। পরিবেশ অনুকূল থাকায় প্রায় গাছেই আম ধরে। কোনো গাছের ডাল আমের ভারে নুয়ে গেছে। এখন আমের ভরা মৌসুম। দেশি জাতের আম শেষের পথে।
দেশি জাতের আম এবার পাইকারি ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা দরে। হিম সাগর আমের মৌসুম চলছে। প্রাইকারি প্রতি মণ ১২শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা। ল্যাংড়া আম সবে উঠতে শুরু করেছে। দাম হিমসাগরের চেয়ে কম। প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মণ এক হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা।
বাগানে আম্রপালিও পাকতে শুরু করেছে। পাইকারি প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি মণ ৬শ টাকা থেকে ৮৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার কোটচাঁদপুর আমবাগানে দরপতন হয়। দেশি আম প্রতি মণ ৫শ টাকা, গোপাল ভোগ ৭শ থেকে ৮শ টাকা, হিম সাগর এক হাজার টাকা থেকে ১১শ টাকা ও ল্যাংড়া ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের আম চাষি আতাউর রহমান বাবলু জানান, তার ১৫ বিঘা আমের বাগান আছে। আম ভালো ধরেছে। পাইকারি হিমসাগার প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা, ল্যাংড়া ২৫/৩০ টাকা ও আম্রপালি ২০/ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক কম। বাগান মালিকদের তেমন লাভ থাকবে না।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ জানান, আমের দর পতনের কারণে অনেক বাগান মালিক আম পারছে না। তারা ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। ঈদের পর আমের চাহিদা বেড়ে যাবে। তখন চাষিরা দাম বেশি পাবে বলে আশা করছেন তিনি।