রংপুর: রাত পোহালেই ঈদ। এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভিড় জমেছে সুগন্ধি আতর, সুরমা ও টুপির দোকানগুলোতে। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট বড় দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রেতারা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই রংপুর মহানগরীর বিপণি বিতান থেকে ছোট-বড় মার্কেটগুলোর পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে এই ভিড় দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাত পর্যন্ত এই কেনাকাটা চলবে।
নগরীর বিভিন্নস্থানে বিপণি বিতান ও ছোট-বড় মার্কেটগুলোর পাশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা টুপি-সুরমা ও আতরের পসরা সাজিয়েছে। দেশি-বিদেশি সুগন্ধি আতর, সুরমা আর টুপি কেনার ভিড় দেখা গেছে নগরীর বেতপট্টি রোডস্থ দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে এর চাহিদা আরও বাড়বে। বিভিন্ন নামী-বেনামী প্রতিষ্ঠানের আতর-সুরমার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বাহারি টুপি শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর রকমারি ডিজাইন আর নজরকাড়া মূল্যের টুপির পাশাপাশি দেশীয় টুপি বিক্রি হচ্ছে।
বেতপট্টির এক টুপির দোকানি জানান, সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার ঊর্ধ্বে বিভিন্ন মূল্যে টুপি ও আতর সুরমা কিনছেন ক্রেতারা।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার পাশাপাশি রমজান, শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদর ও ঈদ-ই মিলাদুন্নবীতে পুরুষ মানুষের আতর ও টুপি কেনার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
টুপি বিক্রেতা বাবু মিয়া জানান, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই টুপি আতর বিক্রি বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় দেড়’শ টুপি বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার টুপি সুরমা ও সুগন্ধি আতর বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
নগরীর শাপলা চত্বর আশরাফিয়া জামে মসজিদের সামনের ভ্রাম্যমাণ টুপি বিক্রেতা বলেন, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় টুপির চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকেই আতর ও সুরমা কিনছেন।
এদিকে সব শ্রেণির মানুষের জন্য হরেক মূল্যে বিক্রি হওয়া টুপি,আতর ও সুরমার মধ্যে রয়েছে মানের পার্থক্য। যা নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষের ক্রয় সাধ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ।