বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টাকা দিতে হবে দূষণকারীকেই

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপেন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-20 10:17:54

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকেই টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি-২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া আরো দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন-২০১৯, বাংলাদেশ বাতিঘর আইন-২০১৯।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাবনায় অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির আওতায় দু'টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এই অ্যাটমিক এনার্জি যেহেতু সেনসিটিভ জিনিস তাই একটা জাতীয় নীতিমালা থাকা দরকার। সেজন্যই নীতিমালা করা হচ্ছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা (আইএইএ)। তবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা জাতীয় গাইড লাইন দরকার সেজন্য এই নীতিমালা করা হচ্ছে, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে। যাতে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে।

এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির প্রসঙ্গে সচিব বলেন, চুক্তিতেই বলা হয়েছে বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে। একদম সিলগালা করে তারা তাদের দেশে নিয়ে বর্জ্য ডিসপোজ আপ করবে। আইএইএ শর্ত দিয়েছে গাইড লাইন করতে। আমরা তাদের গাইড লাইনের জন্য নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ যে দুষণ করবে সেই টাকা দেবে। নীতিমালার আলোকে দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটা এজেন্সি থাকবে 'আরডব্লিইইএমসি' নামক কোম্পানি। এর মাধ্যমে সকল পারমাণবিক খাতের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চলে আসবে।

এছাড়া "বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল" খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। আগে প্রকৌশলের জন্য গবেষণা ধর্মী প্রতিষ্ঠান ছিল না। তাই প্রকৌশল গবেষণার জন্য নতুন আইন করা হয়। আইনে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল নামে একটা কাউন্সিল থাকবে।জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিদ্যার প্রায়োগিক ক্ষেত্র সমূহ পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদুতিকসহ সকল প্রকার অবকাঠামো যন্ত্রপাতি, প্ল্যান, মালামাল যন্ত্রপাতিসহ সব চলে আসবে।

প্রকৌশল কাউন্সিলের একটি বডি থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্য থাকবেন। চেয়ারম্যান যেখানে ইচ্ছে বৈঠক করতে পারবেন। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বৈঠক করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর