স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পার্লামেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। তিনি বলেন, গণতন্ত্র অধিকতর কার্যকর করতে মানবাধিকারের বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সার্বিয়ার বেলগ্রেডে ১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনে ‘স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল ল’: পার্লামেন্টারি রোলস অ্যান্ড মেকানিজম অ্যান্ড দ্য কন্ট্রিবিউশন অব রিজিওনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে এসব কথা বলেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রকে অধিকতর কার্যকর করতে মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পার্লামেন্ট এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখছে, যেখানে থাকবে না দারিদ্র্য কিংবা শোষণ।
অনুষ্ঠানে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা চুয়েভাস ব্যারন, সেক্রেটারি মার্টিন চুংগং এবং সার্বিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ও ১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট মাজা গজকোভিচ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর -ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, মো. হাবিবে মিল্লাত, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আবদুস সালাম মূর্শেদী, পীর ফজলুর রহমান, সুবর্ণা মুস্তাফা, শবনম জাহান, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ১৪০টি দেশের ৮০ জন স্পিকার, ৬০ জন ডেপুটি স্পিকারসহ ১৫০০ এর অধিক প্রতিনিধি সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম বৃহত্তম এ অ্যাসেম্বলিতে অংশ নিচ্ছেন।