ইসলামপুরে ৮০ টন চোরাই ফেব্রিকস জব্দ
পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮০টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস জব্দ করেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
বুধবার (১৬অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানটি বুধবার ভোর বেলায় শেষ হয়। অভিযানের শেষ দিনে পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় ৩য় বারের মত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে গুলশান আরা মার্কেটের ৫ম তলায় অবস্থিত ৫টি গোপন গুদামে থেকে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, অভিযান চলাকালীন স্থানীয় চোরাকারবারি-সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে কাস্টমসের অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে মার্কেটের বাইরের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এবং মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় ডিএমপি সদর এবং স্থানীয় কোতোয়ালি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশের সহায়তার মাধ্যমে অভিযান সম্পন্ন করা হয়।
অভিযানে জব্দকৃত প্রায় ৮০ টন উন্নতমানের ডেনিম, শার্টিং, স্যুটিং, জর্জেট ফেব্রিকস জব্দ করে কাস্টমস গুদামে জমা করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। বিশেষ অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক-গার্মেন্টস বন্ড প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
উক্ত অভিযানে ৫ জন উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন কাস্টমস বন্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়। এছাড়াও ডিএমপি সদর ও স্থানীয় থানা পুলিশের সশস্ত্র টিম অভিযানে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে ইসলামপুর এলাকায় বন্ডেড অবৈধ ফেব্রিকস এর চোরাই বাজার গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নির্দেশনা এবং কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবীর এর উদ্যোগে সম্প্রতি একটি বিশেষ অভিযান পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ০৫ অক্টোবর ইসলামপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে মোট ১৮৪ টন চোরাই বন্ডেড ফেব্রিকস জব্দ করা হয়।