সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের তুহিন (৫) হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তাকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি মীর সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোটে এ কথা বলা হয়।
প্রেস নোটে বলা হয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পারিবারিকভাবে নৃশংস ও ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তুহিন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত তুহিনের বাবা-চাচাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ। তুহিনের মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর পর বাকি তিন আসামি তুহিনের বাবা আবদুল বছির, চাচা আবদুল মছব্বির ও প্রতিবেশী জমসের আলীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এতে আরও বলা হয়, সোমবার সকালে এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সে রহস্য ভেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, হত্যা করেছে বাবা
এর পর ওই দিন বিকেলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, তুহিন হত্যায় তার পরিবারের লোকজনই জড়িত।
তিনি জানান, প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা, কখন, কীভাবে তাকে হত্যার করেছে; সবকিছু তারা জেনেছেন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতের কোনো এক সময় খুন হয় তুহিন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রোববার দিনগত রাতে ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যান তার বাবা। পরে বাবা, চাচা আর চাচাতো ভাই মিলে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। এর পর কদম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার নিথর দেহ। পেটে ঢোকানো হয় দু’টি লম্বা ছুরি। তার দু’টি কান ও যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়।