‘বিদেশি সিরিয়াল চালাতে লাগবে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 14:07:39

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিদেশি সিরিয়াল চালাতে হলে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার ব্যাপারে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশের কিছু চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে প্রচার করা হচ্ছে। একটি চলচ্চিত্র বানানোর পর যেহেতু সেন্সর বোর্ড হয়ে সম্প্রচারে আসতে হয়, সেখানে বিদেশি সিরিয়াল সেন্সর ছাড়া প্রচার হওয়া সমিচীন নয়। যারা প্রদর্শন করছেন, তারা অনুমোদনের আবেদন করেছেন। যেহেতু এসব সিরিয়ালের কিছু দর্শক রয়েছে, তাই সেগুলো চালানোর অনুমোদন দিচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে যেন এসব সিরিয়াল সেন্সর বোর্ড হয়ে আসে, সে জন্য কমিটি করা হচ্ছে।’

বিদেশি ডিটিএইচের বিরুদ্ধে ১৫ ডিসেম্বরের পর অভিযান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের দু’টি কোম্পানিকে ডিটিএইচের (ডিরেক্ট টু হোম) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশি ডিটিএইচ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো অনুমোদন সরকার দেয়নি। কিন্তু অনেক জায়গায়ই দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ডিটিএইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব অবৈধ সংযোগ সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা ব্যবস্থা নেব। অভিযানে যাদের কাছে ডিটিএইচ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড, অনধিক এক লাখ ও অন্যূন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর দ্বিতীয়বার এ অপরাধ করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ও অন্যূন এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।’

‘আগে চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল মানা হচ্ছিল না। পরে আমরা বাংলা চ্যানেলগুলো শুরুর দিকে রাখতে ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছি। এজন্য মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়। এখন ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে সিরিয়াল মানা হচ্ছে। কোথাও না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

আবরার হত্যা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সভা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য। তারা আবরার হত্যা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। অবরার হত্যার পর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে। ঐক্যফ্রন্ট এটা নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, এটি আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নয়, বরং নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে এ চেষ্টা করছে। মূলত ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখতেই তারা এ সভা আহ্বান করেছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর