আমার ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-28 23:43:33

২০১৫ সালে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। আমার ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ, তবে সামনের দিকে আরও ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সৌদি কোম্পানি অ্যাকওয়া পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যাকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে গ্যাস ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী। কোম্পানিটি প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রাক-সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিদ্যুৎ খাতে সৌদির কোন কোম্পানির এটাই প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রস্তাবে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো। এর আগে আল ফানাহ নামের একটি কোম্পানি পিজিসিবির সঙ্গে ১শ’ মেগাওয়ার্ট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এমওইউ করেছে। এছাড়া সৌদির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানিটি এলএনজি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা সৌদি বাংলাদেশ সম্পর্ক অন্য স্তরে নিয়ে যেতে চাই। এই চুক্তির মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আমরা যখন গত নভেম্বরে সৌদি সফর করি তখন বাদশা বলেছিলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পিআইএফ (পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড) টিম পাঠাব। ১ বছরের কম সময়ে তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছেন।

উপদেষ্টা বলেন, এনার্জি হচ্ছে অর্থনীতির চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য এসেছে এই খাতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পছন্দ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিলম্বে শুরু হলেও যাত্রা শুরু হলো। আশা করি অনেক দূর যেতে পারব।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইদানিং একটি কথা শুনতে পাচ্ছি এত বিদ্যুৎ রাখব কোথায়। অথচ এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার কথা। ডিমান্ড এবং সাপ্লাই যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু হয়েছে। যাতে লোডশেডিং না হয় সেভাবে করা হয়েছে। অবকাঠামো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে করা হয়। চুক্তিটি দুই পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে।

অ্যাকওয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান আবু নাইয়ান বলেন, সামাজিকভাবে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগের। সারাবিশ্বে প্রমাণিত আমাদের লিডারশিপ। আমি আইএমএফ, ইউএন-এর রিপোর্ট দেখেছি, বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু এই একটি নয়। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি, থাকতে চাই জনগণ এবং অর্থনীতির সঙ্গে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, মহেশখালী অথবা অন্য কোনো স্থানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে। নির্ভর করবে প্রাক-সমীক্ষার ওপর।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সফিকউল্লাহ, হুমায়ুন কবীর, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর