পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় পেঁয়াজের পাইকারি আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ নই, পরিপূরক। যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে তখনই আমরা ব্যবস্থা নেই। অতি মুনাফা চাই না, কারও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হোক সেটাও চাই না।
তিনি আরো বলেন, পাইকারি ও খুচরা দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। কমিশন এজেন্টরা কার কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছে অবশ্যই সেটার রশিদ থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে নগর, জেলা ও মহাসড়কে পেঁয়াজের গাড়ি যেন দিনে-রাতে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থাও নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামের আটজন আমদানিকারকের নাম পাওয়া গেছে, তাদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের কেউই আসেননি। তারা অন্য কোনো ঠিকানা ব্যবহার করে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
পেঁয়াজ যেন দ্রুততম সময়ে খালাস করা হয় সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও টেকনাফ কাস্টমসকে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।
সভায় খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ক্যাবের নাজের হোসাইন, হামিদ উল্লাহ, মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। এরপর আমদানি বাড়ানোসহ সরকারের নানা পদক্ষেপে দাম কিছুটা কমলেও গত কয়েকদিনে আবার ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম।