সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সঞ্জয় রায় নামে এক ঠিকাদার।
মামলায় মেয়র আরিফ ছাড়াও বিবাদী করা হয়েছে ঢাকার কলাবাগান থানার পান্থপথের (১৫২/৩ বি) বীরউত্তম কাজী নুরুজ্জামান রোডের পিরোজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলার মাহবুব ব্রাদার্স লিমিটেডের পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমানকে।
আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
মামলায় ঠিকাদার সঞ্জয় রায় অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশনের নগর ভবন নির্মাণের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার পান মাহবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরবর্তীতে কাজটি সম্পাদনের জন্য একই বছরের ২৩ নভেম্বর মাহবুব ব্রাদার্সের সঙ্গে চুক্তি করে তার প্রতিষ্ঠান সম্পাতপা এন্টারপ্রাইজ। কাজ শুরুর পর থেকে মাহবুব ব্রাদার্সের নামে বিল ইস্যু হতো এবং তাদের অফিস থেকে তিনি চেক গ্রহণ করতেন।
নগরভবনের কাজ ৫ শতাংশ বাকি থাকতে তিনি (সঞ্জয় চৌধুরী) জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অর্থ আত্মসাতের লক্ষে প্রতারণা শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাহবুব ব্রাদার্সকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কাজের বিপরীতে সিটি করপোরেশনের রক্ষিত জামানতের ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদীপ্ত সিলেটবাসীর ব্যানারে সিলেটে মানববন্ধন করেন সঞ্জয় রায়। এছাড়া মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
সেসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সঞ্জয় রায় নামের এই ব্যক্তি সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত কোনো ঠিকাদার নয়। নগর ভবন নির্মাণের কাজ পায় মাহবুব ব্রাদার্স। কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে সিসিক কর্তৃপক্ষের সব লেনদেন হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি।