মুসলিম নারীদের একা ভ্রমণ বেড়েছে

বিবিধ, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-27 07:36:00

বিগত বছরে আনুমানিক ৬ কোটি ৩০ লাখ মুসলিম নারী ভ্রমণকারী তাদের ভ্রমণের পেছনে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের বাজারের আকার ও প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীতে নারী ভ্রমণকারীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মাস্টারকার্ড ও ক্রিসেন্টরেটিংয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ২৮ শতাংশ মুসলিম নারী একা ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশের বয়স ৪০ বছর বা তার চেয়ে কম, যা সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, তরুণ মুসলিম নারীরা পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অর্ধেকের বেশি এই মুসলিম নারীরা তাদের ভ্রমণ গন্তব্যে থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় সব তথ্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সহায়তা নিয়েছেন।

ক্রিসেন্টরেটিং ও হালালট্রিপ মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রৌধা জাইনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মুসলিম নারীদের ভ্রমণ বাজারে এই অগ্রগতির সত্ত্বেও খাতটি নিয়ে আজ পর্যন্ত খুব স্বল্প পরিসরে গবেষণা করা হয়েছে। আমাদের এই গবেষণাটি অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত ভ্রমণ শিল্পকে আরও ভালোভাবে বুঝতে নারী ভ্রমণকারীদের একটি পরিষ্কার ধারণা দিতে সহায়তা করবে। একাধিক মুসলিম নারী ভ্রমণকারীদের অতীত এবং ব্যক্তিগত প্রোফাইল পর্যালোচনার পরে আমরা বিশ্বাস করি যে, প্রতিবেদনটি এ খাতের স্টেকহোল্ডারদের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে আরও ভালোভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।’

প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য খরচ ও ব্যয় বাদ দিয়ে নারীদের কাছে আগের চেয়ে বেশি অর্থ থাকছে, যার ফলে বেশিরভাগ নারীই ইদানীং প্রতি বছরে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার বিদেশ ভ্রমণ করছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবসরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ৯০ শতাংশ, ধর্মীয় ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ এবং ব্যবসায় ১১ শতাংশ।

নারীরা ভ্রমণ পরিকল্পনায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে, তবে বেশিরভাগ অর্থাৎ ৭১ শতাংশ নারীরা পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ করে, সেজন্যে তারা পরিবার-বান্ধব গন্তব্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাপী নারী ভ্রমণকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ভ্রমণকারীরা তাদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো এক করেছেন। জরিপে দেখা গেছে, ৯৪ শতাংশ উত্তরদাতা ভ্রমণের অগ্রাধিকার হিসেবে হালাল খাবারকে প্রাধান্য দিয়েছে। ধর্মীয় সুবিধাগুলোর মধ্যে ৮৬ শতাংশ নারীর প্রার্থনা কক্ষ এবং ৭৯ শতাংশ স্পা ও বিউটি সেলুনের কথা বেশি উচ্চারণ করেছেন। তাদের বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার। ৭৩ শতাংশ বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইকো-ট্যুরিজম পছন্দ করেন।

মাস্টারকার্ডের মার্কেট প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আইশা ইসলাম বলেন, ‘তরুণ নারী ভ্রমণকারীরা বিশ্ব দেখতে প্রস্তুত। এই তরুণ নারী ভ্রমণকারীরা ইন্ডাস্ট্রি সেবাদাতাদেরকে তথ্য দিতে প্রস্তুত, যারা নারীদের মূল্যবোধের মর্যাদা রাখে ও সম্প্রদায়কে স্বাগত জানান। মাস্টারকার্ড এবং ক্রিসেন্টরেটিংয়ের নতুন প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্পের অংশীদারদের পণ্য এবং পরিষেবা আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্যভাবে তৈরি করা, যা আগামীতে আরও বেশি কাজে লাগে।,

এ সম্পর্কিত আরও খবর