কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের সিট কাটার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন রোববার

বিবিধ, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-22 14:13:12

কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটের ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনের দিন এসির একটি কোচের ৩১নম্বর সিট কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে ওই কোচের শৌচাগার থেকে খুলে নেওয়া হয় পানির ট্যাপ, টিস্যু হোল্ডার। এ ঘটনার রেলের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর)।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিসিএস লালমনিরহাট স্নেহাশীষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। কে বা কারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।’

কুড়িগ্রামের বাস শ্রমিকরা এর সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারেও আমরা খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলে বিষয়টি জানা যাবে।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাবিল উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘উদ্বোধনের আগের দিন ট্রেনটি কুড়িগ্রাম স্টেশনেই রাখা ছিল। তবে বগিতে পানি সংগ্রহের জন্য কোচটি রংপুরে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কখন কোথায়, কারা কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।’

সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর .কমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম বিষয়টি দেখছেন। রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ রাস্তায় নামানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা সিট কেটে ট্রেনের বিভিন্ন জিনিস নষ্ট করে করেছে। অসভ্য, অশিক্ষিত মানুষ ছাড়া এগুলো কেউ করতে পারে না।’

গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উদ্বোধনের দিন সিট কাটার ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে নজরে আসে বাংলাদেশ রেলওয়ের। তারপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিতে আছেন- ডিসিএস লালমনিরহাট স্নেহাশীষ দত্ত, কমান্ড্যান্ট আরএনবি মিজানুর রহমান, ডিএমই রবিউল হোসেন।

উল্লেখ্য, সদ্য উদ্বোধন হওয়া ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনে মোট ১৪টি কোচ আছে। রাতের বেলা এই ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৬৩৮টি এবং দিনের বেলায় আসন সংখ্যা হবে ৬৫৩টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার থাকবে ৪৮০টি, শীতাতপ বার্থের আসন সংখ্যা থাকবে দিনের বেলায় ৩৩টি এবং রাতের বেলায় ১৮টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ থাকবে ১১০টি, গার্ড ব্রেক ও খাবার গাড়িতে শোভন চেয়ার যুক্ত আসন থাকবে ৩০টি।

এছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে। আবার ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং কুড়িগ্রামে পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ২০মিনিটে। সাতটি স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে ট্রেনটি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর