রাজধানীর গাবতলী ও সাভারের আমিনবাজার হতে আটক হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের পরিকল্পনা ছিল টার্গেট কিলিং।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র্যাব ৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক।
মোজাম্মেল হক বলেন, আটক ৪ জঙ্গি সদস্য এখন আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করলেও পূর্বে তারা হরকাতুল জিহাদ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে হরকাতুল জিহাদ ভেঙে গেলে আনসার আল ইসলাম এ যোগদান করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৪ জঙ্গি সদস্য আটক
জঙ্গিদের লক্ষ্য সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়। তাদেরকে শাস্তি হিসেবে টার্গেট কিলিং করাই ছিল জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। এজন্য তারা নিজেদের কাছে চাপাতি রাখতো।
র্যাবের এই অধিনায়ক জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের এই সদস্যের সঙ্গে আমরা আরো ২০-২৫ জন জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে লিঙ্ক পেয়েছি। তাদের সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এর আগে সোমবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী ও সাভারের আমিন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককালে তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, এন্ড্রয়েড ফোনসহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। সে সাথে জঙ্গিবাদ প্রশিক্ষণের নানা ক্লিপস পাওয়া গেছে। যেগুলো দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয় এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে।
আটককৃত জঙ্গিরা হলেন মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) আহম্মেদ সোহায়েল (২১)।