দীর্ঘ নয় বছর পর নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে দুই হাজার সাতশ ত্রিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আগামী প্রজন্মকে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রচেষ্টায় সরকারের পদক্ষেপগুলো নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত জাতি গড়তে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে বর্তমান সরকার শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আর তাই উন্নত শিক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্কুল পর্যায় থেকেই কারিগিরি শিক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান। এবং শিক্ষার মান ও পরিবেশ যেন সুন্দর হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
নতুন এই এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০টি মতো বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১০ম) ৯৯৪টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একাদশ থেকে দ্বাদশ ৬৮টি, কলেজ একাদশ থেকে দ্বাদশ ৯৩টি, ডিগ্রি কলেজ (১৩শ-১৫শ) ৫৬টি। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৩৫৭টি দাখিল, ১২৮টি আলেম, ৪২টি ফাজিল ও ২৯টি কামিল। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কৃষি ৬২, ভোকেশনাল ১৭৫ এবং ২৮৩টি এইচএসসি (বিএম)।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘ নয় বছর ধরে থেমে থেমে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত নয় এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীরা।