রাশিয়া ৩: মিসর ১
ফেভারিটরা ধরা খাচ্ছে,আফ্রিকার দলগুলো আত্মঘাতি গোলে হারছে এবং রাশিয়া বড় ব্যবধানে জিতেই চলেছে! চলতি বিশ্বকাপে এই তিনটি বিষয় বেশ সমানে ঘটছে। সৌদি আরবকে প্রথম ম্যাচে ৫-০ তে উড়িয়ে দেয়ার পর মিসরের জালেও গোল উৎসব করল রাশিয়া। জিতল ৩-১ গোলের বিগ মার্জিনে।
দুই ম্যাচে জয়, সঙ্গে ৮ গোল। নিজ দেশের বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করে রাশিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট ‘প্রায়’ পেয়েই গেল। হার-জিতের কিছু জটিল সমীকরণ আছে বলেই প্রায় শব্দটা বসাতে হচ্ছে। নয়তো স্বাগতিকদের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবার ঘোষণাটা এতক্ষনে ফিফাই দিয়ে দিত!
তবে হ্যাঁ একটা কথা আপনি-আমি জোর গলায় বলতে পারি; বিশ্বকাপে রাশিয়ার রূপকথা চলছেই!
যাকে বলে সন্মান ভাগাভাগি- সেই মর্যাদা নিয়ে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। কোন দলই গোল পায়নি। তবে গোলের সুযোগ ঠিকই পেয়েছিল। সেখানেই সমতা প্রায় কাছাকাছি ছিল। গোল পেতে পারতেন ম্যাচের শুরুতেই রাশিয়ার গ্লোভিন অথবা ৪২ মিনিটে মিশরের মোহাম্মদ সালাহ। উহু, আহ এবং ইস্ নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধে তাদের গোলের প্রচেষ্টাগুলো।
তবে বিরতির পরপরই মিসর আকস্মিক ধাক্কা খায়। রাশিয়ার জবনিন দুর্বল পায়ে মিসরের পোষ্টে শট নেন। পেনাল্টি বক্সের সামনে দাড়ানো মিসরের অধিনায়ক সেই বল ফেরাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে ফেললেন। বল তার পায়ে লেগে নিজেদের জালে-আত্মঘাতি গোল! সেই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই মিসরের জালে দ্বিতীয় গোল। এই গোলের পুরো কৃতিত্ব রাশিয়ার আক্রমণভাগের দুই ফুটবলারের। ফার্নান্দেজের বাড়ানো পাস থেকে বল নিয়ে চেরিসেভ মোটেও ভুল করেননি। বল সোজা জালে। রাশিয়া ২, মিসর ০। দুই ম্যাচে তার গোল তিনটি। ছুঁয়ে ফেললেন রোনালদোকে। অথচ এই বিশ্বকাপে তার রাশিয়ার একাদশে থাকারই কথা ছিল না।
রাশিয়া আরেকবার ভাসল উল্লাসে। টুর্নামেন্টে এটি যাইয়ুবার দ্বিতীয় গোল। ৩ গোলের পর টিভি ক্যামেরা বল ছেড়ে জুম করল মোহাম্মদ সালাহ’র মুখে। কষ্টের কান্না চেপে রাখার চেষ্টার ছবি সেখানে স্পষ্ঠ! সান্তনাসুচক একটা গোল পায় মিসর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। সালাহকে বক্সে ফেলে দেন রুশ ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান খানিকটা কমান সালাহ। কিন্তু ম্যাচ তাতে বাঁচল কই?
সৌদি আরবের সঙ্গে মিসরের শেষ ম্যাচ এখন নেহাৎ বিশ্বকাপ মিশন শেষের একটা ম্যাচ শুধু!