অসত্য তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হলে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে না এবং অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চারটায় নীলক্ষেতে ব্যানবেইসের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য স্বীকৃতি একটি অন্যতম শর্ত। কোন কোন ক্ষেত্রে নিজস্ব ভবন না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষাক্রম নিজস্ব ভবনের মধ্যে পরিচালনা করা হবে বলে শর্ত আরোপ করা হয়। কেউ যদি এই শর্ত পালন না করে থাকে এবং এই আদেশে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে যাচাই করে উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কথা উঠেছে। এমপিওভুক্তির কাজটি দীর্ঘ সময় নিয়ে করা হয়েছে। আমাদের কাজ শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম, সেখানেও কিছু সংশোধন হয়েছে। কোন অযোগ্য প্রতিষ্ঠান যাতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যুক্ত হতে না পারে সেজন্য শর্ত দেওয়া আছে।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালায় উল্লেখিত মানদণ্ড অনুসরণপূর্বক প্রাপ্ত এমপিওভুক্তির ৯ হাজার ৬১৪ আবেদনের মধ্যে ২ হাজার ৭৩০ টি যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাছাই করা হয়। এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে সাবমিট করে। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাশের হার সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে গ্রহণ করা হয়। স্বীকৃতি সংক্রান্ত তথ্যাদি বাছাই করতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল তথ্য পাওয়া যায় যা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ পূর্বক শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে চলেছে। এটি একটি চলমান কার্যক্রম। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ সংক্রান্ত সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। স্থানীয় পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় জনগণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, এবারের এমপিওভুক্তি কোন রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়নি সেটা নিশ্চিত। কোন বিতর্কিত রাজনীতিবিদের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই ভাবে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে।
এমপিওভুক্তির ফলে শিক্ষার মানে কি পরিবর্তন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা থাকে। শহরে অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিও চান না। কিন্তু গ্রামে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা থাকে। বিকল্প কোন কাজের চিন্তা থাকলে শিক্ষক যথাযথভাবে শিক্ষা দিতে পারেন না।
এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।