জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অসমতা ও বৈষম্য দূর করে নারীদের উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। সুযোগ ও সামর্থ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের দুষ্ট বৃত্ত থেকে নারীদের বের করে আনতে হবে। নারীদের পিছিয়ে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এ অনুষ্ঠিত ‘হিউম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড অ্যাটেইনিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ইন বাংলাদেশ: দ্য কেইসেস অব উইমেন অ্যান্ড মার্জিনাল কমিউনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে ও খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর অবদান ৭০ ভাগ। গৃহস্থালি কর্ম থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে রয়েছে নারীর অসামান্য ভূমিকা। নারীর এ অবদানকে যথাযথ সম্মান দিলেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সুরক্ষিত হবে। এসডিজি লক্ষ্য পূরণের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বর্তমান সরকার জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়ন করছে। নারী ও অতি-দরিদ্র সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে খাতভিত্তিক পৃথক পৃথক বরাদ্দ রয়েছে বর্তমান বাজেটে।
স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ়। বিগত দশ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ হতে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এ সকল অর্জন সম্ভব হয়েছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কারণে। বর্তমানে জিডিপি ৮ শতাংশ- যা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে ওঠার পূর্বাভাস।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) মেধা, জ্ঞান ও সৃজনশীলতা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল-এর উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী ও উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।