রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) বিভাগে গত এক বছরে দায়েরকৃত মোট মামলার ৫৪ ভাগই মাদক সংক্রান্ত মামলা বলে জানিয়েছেন আরপিএমপি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে আরপিএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, 'গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরপিএমপিতে হওয়া মামলার ৫৪ ভাগ মাদক সংক্রান্ত। গত এক বছরে ৫৮৩টি মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ বিপুল পরিমাণ মদ। এসবের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫৩ লাখ টাকা।'
তিনি বলেন, 'মাদকের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই পুলিশের অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আটক হচ্ছে। এক বছরে ১০ হাজার ৬৯৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪৩ হাজার ৮৫৮ কেজি গাঁজা, ৩২ হাজার ২১১ গ্রাম হেরোইন, ১ হাজার ৪৬ বোতল ফেনসিডিলসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে। জনসচেতনতা ও মাদক বিরোধী আন্দোলনেই মাদক নির্মূল সম্ভব।'
নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা নিয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, যত বড় নেতাই হোক না কেন, সবাইকে আইন মানতে হবে।'
এ সময় যেকোনো মোটরযানে পুলিশ, প্রেস, ডাক্তার, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি লেখা বেআইনি উল্লেখ করে সকলকে এসব লেখা সংবলিত স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে রাখার জন্য বলেন পুলিশ কমিশনার।
সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন)
মো. মহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) মো. ফারুক আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স) একেএম ওহিদুন্নবী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) শরীফ আল রাজীব, সহকারী পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) রেজানুর বেগম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আলতাব হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. জমির উদ্দিন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর জোন) মো. ফরহাদ ইমরুল কায়েসসহ রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ আরপিএমপি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।