শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের কল্যাণের জন্য সত্যিকারে কিছু করতে চাইলে মিডিয়াতে বা সভা সেমিনারে শুধু সরকারের সমালোচনা না করে সহযোগিতা করার জন্য সুশীল সমাজ, এনজিও ও সমাজকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বী মিয়া।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে আইপিডি কনফারেন্স কক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সঙ্গে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এর ‘শিশু সুরক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশু ও নারী নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও যৌন হয়রানি শুধু আইন করে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা। সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনটি যথেষ্ট কার্যকারী। শিশু নির্যাতনকারী কোনভাবেই ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই এই আইনে। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সরকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিচার কাজ কার্যকর করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলই নারী ও শিশুদের জন্য সুবর্ণ সময়। এ সরকারের সময়ে যদি আমরা নারী ও শিশুদের সুরক্ষা দিতে না পারি তাহলে তাদের সুরক্ষা দেওয়া আর কখনো সম্ভবপর নয়। এসময় তিনি নারী ও শিশুদের কল্যাণে গৃহীত সরকারের নানমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
অয়োজক সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, এ ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার শুধু আপনাদের রুটিন ওয়ার্কের অংশ হলেই হবে না। যদি সত্যিকারে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে এ সভার আয়োজন করে থাকেন তাহলে জনসাধারণকে আইন মানার জন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতেও আপনাদের কাজ করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি সামশুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, আবুল কালাম আজাদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা, অপরাজিতা হক, রাবেয়া আলীম, রওশন আরা মান্নান, সৈয়দা শামসুন্নাহার, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, অ্যারমা দত্ত, আবিদা আজিম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউকেএম ফারহানা সুলতানা।