কৃষকদের সুরক্ষা দিতে সরকার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে লটারি করে ধান কিনবে। আর আমন মৌসুমে যাদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে তাদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে ধান কেনা হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে করে এবার ধানের ভালো ফলন হবে। তাই এবারও ধানের দাম কমে যেতে পারে। এ থেকে কৃষকদের সুরক্ষা দিতে সরকার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে লটারি করে ধান কেনা হবে। এছাড়া আমন মৌসুমে যাদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে তাদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে ধান কেনা হবে না। এভাবে আমরা বছরে মোটামুটি সকল চাষিকে এই সুযোগটা দিতে চাই। একই সঙ্গে ধান কেনার বিষয়টি শক্তভাবে মনিটরিং করা হবে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, গণমাধ্যমের রিপোর্ট এবং আমাদের তথ্যে দেখা গেছে ধানের দাম আবারও কমে যাচ্ছে। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে আমরা আরো একটি প্রস্তাব করেছি। যা জাতীয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে। সাপ্লাই বা উৎপাদন বেশি হলে দাম কমে যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে কমিটিতে।
তিনি বলেন, মিলাররা বলছে তাদের গুদামে যে ধান ও চাল রয়েছে সেটা তারা বিক্রি করতে পারছে না। এই আমন মৌসুমে যদি তারা ধান না কিনে তাহলে সমস্যা দেখা দিবে। তবুও মিলাররা অবশ্যই ধান কিনবে। না কিনার তেমন কোন কারণ নেই। কেননা আমন চাল ভালো, দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা দুইভাবে কৃষককে প্রণোদনা দেই। এক হলো ধান কিনে। এ বছর ৬ লাখ টন ধান কেনা হবে সরাসরি চাষির কাছ থেকে। যেটি বাংলাদেশে অতীতে কোনদিন হয়নি। গত বোরো মৌসুমে আমরা ৪ লাখ টন ধান কিনেছি। যেখানে কেনার কথা ছিল দেড় লাখ টন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০ তারিখ থেকে যে ৬ লাখ টন আমন কেনা শুরু হবে। সেটাকে আমরা শক্ত হাতে মনিটরিং করবো। যাতে প্রকৃত ও প্রান্তিক কৃষক ধান সাপ্লাই দিতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কৃষকের তালিকা করা। এটি চূড়ান্ত করবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো।