ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছে মানুষ

ঢাকা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী | 2023-08-22 08:01:13

ভোলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সকল বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম। জেলার সকল অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দুপুর থেকে বৃষ্টির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ ছাড়া দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নগদ ১০ লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিকটন চাল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক আরও জানান, ভোলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরনিজামসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে অন্তত ২ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে। গবাদি পশুর নিরাপত্তার জন্য জেলায় ৩৯টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৬৬৮টি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসমূহের কর্মকর্তাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর