জৈব প্রযুক্তি কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-10 15:18:19

বায়োটেকনোলজি বা জৈব প্রযুক্তি কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে বায়োটেকনোলজির বিকল্প নেই। ফসলের ফলন বৃদ্ধি, কাঙ্খিত জাত উদ্ভাবন, পোকামাকড় রোগবালাই প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন, লবনাক্ততা সহ্য ক্ষমতার জাত, বন্যা-খরা-শৈত্য প্রবাহ সহ্য ক্ষমতা জাত উদ্ভাবন, বড় আকৃতির ফলফুল, সবজি-মাছ-পশু পাখি উৎপাদন, অল্প সময়ে লাখ লাখ চারা উৎপাদন, চাহিদামত জাত উদ্ভাবনসহ কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োটেকনোলজির ভূমিকা অপরিসীম। বিজ্ঞানীদের ধারনা- বায়োটেক ফসলই একমাত্র বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করতে পারে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৫০ ভাগ বায়োটেক ফসল চাষ হয়। এছাড়া–চীন, আর্জেন্টিনা, কানাডা, ব্রাজিলসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশ বায়োটেক শস্যের প্রতি দ্রুত আর্কষন দেখে মনে হয়, বাণিজ্যিক এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র উভয় প্রকার ভোক্তা, কৃষক এবং উৎপাদনক্ষমতা, পরিবেশ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাইওটেকনোলজীর মাধ্যমে অল্প সময়ে উন্নত জাত উদ্ভাবন করা যায়। কাঙ্খিত জাতের ফসল উদ্ভাবন করা যায়। অল্প সময়ে প্রজাতির মধ্যে বিভিন্নতা আনা যায়। বড় বড় সবজি ও ফলের জাত, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধী জাত এবং লবনাক্ততা, খরা ও বন্যা সহনশীলতা জাত উদ্ভাবন করা যায়। যে কোনো ফসল বছরের যে কোনো সময়ে চাষ করা যায় এমন জাত উদ্ভাবন করা যায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে সব ফসল, ফল, ফুল, সবজির বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা যায় না সেসব গাছের চারা উৎপাদন করা যায়। বছরের যেকোন সময় চারা উৎপাদন করা যায়, মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ করা যায়। উদ্ভিদ প্রজননের জন্য হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদ উৎপাদন করা যায়। নাইট্রোজেন সংবন্ধন ব্যাকটেরিয়া তৈরি করা যায়। যা বাতাস থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে মাটিকে উর্বর করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ওয়াইস কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইওলজিকাল সাইন্স এর ডিন প্রফেসর ড.এম ইমদাদূল হক,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এমরান কবীর চৌধুরী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর