বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি দল এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।
তিনি জানান, আবরারের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান করতে চাইলে-বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। এসব সুপারিশসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (৯ নভেম্বর) স্কুলছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে জমা দেয় রেসিডেনসিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গত ১ নভেম্বর বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির দিবাশাখার শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাত মারা যায়। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।
আবরারের সহপাঠীদের দাবি, ঘটনা চেপে রেখে আবরারকে কলেজের পাশের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর গোপন করে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হয়।
পরে ২ নভেম্বর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে আবরারকে দাফন করা হয়। একইদিন আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিসিলের উপস্থিতিতে এই মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।