ক্যাসিনো কারবারের অভিযোগে লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, রূপপুর বালিশ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত কর্মকর্তা ও রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে পারটেক্স গ্রুপের এমডি এম এ হাসেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে আনা হয় বিসিবি পরিচালক লোকমানকে।
দুপুরের খাবার ও নামাজের বিরতি দিয়ে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে ৩৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাতজনকে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কমিশন কার্যালয়ে।
বিকেল সারে ৩টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আসেন পারটেক্স গ্রুপের এমডি এম এ হাসেম। দুদকের পরিচালক মোশাররফ হোসেন মৃধা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি দখলসহ অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে মূল্য বেশি দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে দুদকের।
আজকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব মো. দিলোয়ার বখতকে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে তিনি বলেন, এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে কিছু পুরনো অভিযোগ আছে। আজই প্রথম নয়, এর আগেও ভদ্রলোক দুদকে এসেছিলেন। আজও তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ডেকেছিলেন, তদন্তের স্বার্থে তার বক্তব্য শুনতে।
এছাড়া অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। সময় হলে সেগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেনকে রমনা থানায় স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকাল ৯টা তাকে আবার দুদকে নিয়ে আসা হবে তৃতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।