বিজয় দিবসের কোন অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিতরা অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর সকল ভবনে মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশক্রমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যথাযথ নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় অনেকে পতাকা উত্তোলন করে। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকা তুলবে তার সঠিক মাপ, ফ্রেস রং থাকতে হবে। পুরনো ছিঁড়ে যাওয়া পতাকা কেউ উড়াতে পারবে না। বিজয় উদযাপনে অনেকে পতাকা তুলেন, সেটি তুলবেন। কিন্তু তার পরের দিন নিয়ম অনুযায়ী সম্মানের সঙ্গে নামিয়ে রাখবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে অনেক স্থানেই আলোকসজ্জা করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে মাথায় রেখে ১৪ তারিখে কোন আলোকসজ্জা সারাদেশে কেউ করতে পারবেন না। ১৪ ডিসেম্বরে কোন আলোকসজ্জা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
স্মৃতিসৌধের বিষয়ে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশিদের জন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। ঢাকা-সাভার রোডে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে, যাতে কোন নাশকতা কেউ ঘটাতে না পারে। স্মৃতিসৌধ ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোন তোরণ করতে দেবো না। মেট্রোপলিটন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজন অনুসারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা র্যালি করলে সাতদিন আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্তারিত জানাতে হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়।
জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ক্রিন দেয়া হবে। সেখানে প্যারেডের দৃশ্য দেখা যাবে। আর্মি, পুলিশ, সিটি করপোরেশন পৃথকভাবে সে ব্যবস্থা করবে। যেহেতু অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় থাকে, সেটি এড়িয়ে যেতে এটি করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রচার করা হবে।