সিজারে অপরিণত শিশু জন্মের হার বাড়ছে

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর | 2023-08-31 14:24:58

সিজারের কারণে দেশে অপরিণত (প্রি-ম্যাচ্যুরিটি) শিশু জন্মের হার দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কামরুন নাহার জুঁই।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবে বিশ্ব প্রি-ম্যাচ্যুরিটি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

জুঁই বলেন, ‘দেশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে জন্ম নেওয়া শিশুর শতকরা ৮০ ভাগই সিজার করে হয়। এতে অপরিণত শিশুর জন্ম রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সঙ্গে মাতৃ মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।’

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্বর কুমার রায় বলেন, ‘প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১ কোটি ৫০ লাখ অপরিণত শিশু জন্ম গ্রহণ করে, অর্থাৎ প্রতি দশ জনে একজন অপরিণত শিশু জন্ম নিচ্ছে। এদের মধ্যে এক লাখ শিশু জন্মের পরই মৃত্যুবরণ করছে। শুধুমাত্র অসচেতনতা, অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্বন্ধে অজানার থাকার কারণে এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে।’

অপরিণত শিশু জন্ম হয় এমন দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান সপ্তম উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সারা বিশ্বে সকল দেশে অপরিণত শিশুর জন্ম হার বেড়ে গেছে। আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিশ্বের শতকরা ৮১ ভাগ অপরিণত শিশু জন্ম গ্রহণ করে। এর মধ্যে বাংলাদেশে শতকরা ১৯ ভাগ শিশুর জন্ম হচ্ছে অপরিণত অবস্থাতে ‘

পরিবার পরিকল্পনার অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সন্তান গর্ভধারণের সাড়ে আট মাসের আগে জন্ম নেওয়া শিশুই অপরিণত। এরমধ্যে ২৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু আমাদের দেশে ইদানীং সিজারের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম বাড়ছে। এ কারণে অপরিণত শিশু জন্মজনিত জটিলতায় অধিকাংশ শিশু মারা যাচ্ছে।’

আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ব প্রি-ম্যাচ্যুরিটি দিবস। এই দিবসটি ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্ন অন টাইম প্রকল্পের আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ল্যাম্ব প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

এতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বর্ন অন টাইম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডা. আরিফিন অমল ইসলাম, বার্ন অন টাইম প্রকল্পের ল্যাম্প’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুল আলম মন্ডল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর