চাকরিপ্রার্থীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অভিবাসী চাকরি মেলা।
মেলায় চাইনিজ ডেলিগেটদের উপস্থিতিতে সরাসরি সাক্ষাৎকারে বিশ্বের সবচেয়ে অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ চীনের জিয়াংশি প্রদেশের শিল্প এলাকা নামচাং শহরের প্রতিষ্ঠিত ওফিলম কোম্পানিতে চাকরির জন্য বাছাই করা রাজশাহী অঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রাজুয়েট চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) রাজশাহীর সপুরাস্থ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) চীনে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি সাইক ওভারসিজের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সাইক ওভারসিজ ও সাইক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেলী ইয়াছমিন।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে এ মেলায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পারভেজ রায়হান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেন্দ্র গবেষণা যাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. আলী রেজা মো. আব্দুল মজিদ, রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. নাজমুল হক, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হান্নান, চায়নিজ প্রতিনিধি লু চ্যাংহ্যাং জ্যাকি, সাইক গ্রুপের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. শামস উজ জামান, সাইক ওভারসীজ-এর পরিচালক নুরনবী সিদ্দিক সুইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসরাফিল আলম বলেন, নিরাপদ অভিাবসন ও কর্মসংস্থানের জন্য সাইক ওভারসিজ এর কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য। বেকারত্বের করুণ পরিসংখ্যান থেকে পরিত্রাণ পেতে ও যুবকদের বিদেশে কর্মসংস্থানের কোন বিকল্প নেই। সরকারও সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। চায়নার যে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সাইক ওভারসিজের মাধ্যমে আমাদের তরুণ শিক্ষিত জনশক্তিকে কর্মসংসস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংনীয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য দেশগুলোর চেয়ে চীনে কর্মসংস্থান হবে নিরাপদ ও মানসম্মত।
অন্য বক্তারা সাইক ওভারসিজের উদ্যোগ স্বাগত জানিয়ে দেশের তরুণ শিক্ষিতদের দেশে বেকার না থেকে বিদেশে কর্মসংস্থানের আহবান জানান।
মূলত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে যারা স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন তারা দেশটিতে চাকরি নিয়ে যাওয়ার জন্য মেলায় সরাসরি সিভি জমা দিয়ে ইন্টারভিউ পর্বে অংশ নেন। এদের মধ্য থেকে প্রায় শতাধিক চাকরীপ্রার্থীকে বাছাই করা হয়। চীনের জিয়াংশি প্রদেশের ২টি কারখানার জন্য অপারেটর হিসেবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এসব গ্রাজুয়েটরা। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন মেলা আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাজুয়েটদের বাছাই করা হবে। সেখানে উন্নত পরিবেশে থাকা-খাওয়া, মেডিকেল, ইন্স্যুরেন্সসহ লোকাল ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি বহন করবে। বেতনও অনেক দেশের তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড মানের। কাজের পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। কায়িক পরিশ্রমের কোনো বিষয় নেই।
আয়োজন সম্পর্কে সাইক ওভারসিজের পরিচালক নূরনবী সিদ্দিক সুইন জানান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্প্রতি রাজশাহীসহ জেলায় জেলায় ‘‘সাইক ওভারসিজ” (আরএল ১৬৮৪) কে চাকরি মেলা আয়োজন করার অনুমতি প্রদান করে। দেশের শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তির বড় একটি অংশকে দেশের বাইরে সম্মানজনক কাজে পাঠানোর জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি, খুব কম সময়ের মধ্যে চীন আমাদের দেশের জন্য বড় শ্রমবাজার হয়ে ঊঠবে।