বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসি গভার্নিং বোর্ডের সদস্য ও সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেছেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি ভলেন্টিয়ার বেইজড অর্গানাইজেশন। ভলেন্টিয়াররাই আমাদের অন্যতম শক্তি।
ভলেন্টিয়ারদের (স্বেচ্ছাসেবক) বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামীতে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্টের কার্যক্রমে তাদের আরও সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনাও নিয়েছে বিডিআরসিএস ম্যানেজিং বোর্ড, যোগ করেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ দ্যা রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইএফআরসি) যুব কমিশনের চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভার্নিং বোর্ডের সদস্য বাস ভ্যান রসম রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দফতরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন, সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, আব্দুল্লাহ আল রেজওয়ান নবীন, অ্যাডভাইজার, ভাইস চেয়ারম্যান এবং আইআর ও কমিউনিকেশন বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএফআরসির যুব কমিশন চেয়ারম্যান বাস ভ্যান রসম বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা জনগোষ্ঠীর জন্য যে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তা বিশ্বময় মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সোসাইটি এসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় স্বেচ্ছাসেবকদের গুরুত্ব দিয়েছে। এমনকি কমিউনিটি পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকরাও সব ধরনের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে, যা প্রশংসনীয়।
সোসাইটির বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমেও স্বেচ্ছাসেবকদের অংশ নেওয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় লোকজনের ভাষা বুঝতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অফিস পরিদর্শন করেন বাস ভ্যান রসম। এর আগে তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির কক্সবাজারে বাস্তবায়িত পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন কার্যক্রম পরিদর্শন ও কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিটিং করেন।