‘ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি বিএনপি’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 11:57:39

ভারত বিরোধী রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি করতেই বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে চিঠি দিয়েছে। দলটি ভারত বিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, তা বোঝাতে চেয়েছে ওই চিঠিতে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীরা এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর কোনো চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু সে চিঠিতে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় উল্লেখ নেই। এতে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে আসলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা?

তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলে, অসুস্থতা নিয়ে কথা বলে, আসলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তারা যে চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠিয়েছেন, তা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে। বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ি ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব এমওইউ হয়েছে তা জনগণ জানে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যি বলতে, ওই সফরে কোনো চুক্তিই হয়নি। যা হয়েছে তা এমওইউ স্বাক্ষর ( সমঝোতা স্মারক) এবং এসওপি। শুধু মাত্র লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ভারত সরকার বাংলাদেশকে যা দিয়েছে, সে চুক্তির আলোকে এক্সিম ব্যাংক ঢাকায় একটা অফিস করবে সেজন্য একটি চুক্তি হয়েছে। অন্য কোনো চুক্তি হয়নি। অথচ বিএনপি চিঠিতে লিখেছে চুক্তি। বিএনপির মতো একটি দল তারা চুক্তি ও এমএইউর মধ্যে পার্থক্য বোঝে না।

হাছান মাহমুদন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো সফর শেষে ফিরে প্রধানমন্ত্রী তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন। বরাবরের মতো ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন। এমনকি তিনি সংবাদ সম্মেলন করেও ভারত সফরের বিস্তারিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়েছেন। সংসদে ব্যাখা দিয়ে বলেছেন। কিন্তু বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে এসব কাজ প্রধানমন্ত্রী করেননি। আসলে তারা যে চিঠি দিয়েছে তা একটি অন্তসার চিঠি। ও চিঠিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেননি।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি সব বিষয় জেনে বুঝেই রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি করতে এ চিঠি দিয়েছে। তারা চিঠিতে ফেনি নদীর পানি নিয়ে এমওইউ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের জানা উচিত ফেনী নদীতে পানির পরিমাণ ৮০০ কিউসেক, যার ৪০০ ভাগের একভাগ ভারত খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, এলপিজি গ্যাস দেশে উৎপাদন হয় না। বিদেশ থেকে আনা হয়। আমদানি নির্ভর এলপিজি গ্যাস। চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দর ব্যবহারে চুক্তি নতুন নয়, এবার এসওপি হয়েছে। এ দুটি বন্দর ব্যবহার করলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। দলটির নেতাদের বক্তব্য মুর্খের মতো বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরে ভারতের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে রাডার স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ তা পরিচালনা করবে, তাতে কোস্টগার্ড সমৃদ্ধ হবে। এতে বাংলাদেশের লাভ হবে। যা বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হয়নি।

এসময় বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা জিয়ার ভারত সফরের বেশ কিছু চুক্তির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাত চুক্তি করে এসেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেননি। সংসদে বলেননি, এমনকি গণমাধ্যমকেও জানাননি। তারা কীভাবে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই তারা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ করেননি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর