প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ও অল্প খরচে নিখুঁতভাবে কাজ করা যায়। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে বদলে যাচ্ছে বিচার বিভাগের কাজের ধরন। কাজেরও গতি বেড়েছে। বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হারও।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) নামে একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করীম এমপি। সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সমিতির সম্পাদক এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের দিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচার বিভাগও।
বিচার বিভাগে এখনও পুরোপুরিভাবে ডিজিটালাইজেশন করা যায়নি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের ই-ফাইলিং ব্যবস্থা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের জন্য দ্রুত ও সময়োপযোগী বিচার পদ্ধতি দিতে পারবে। ইতিমধ্যেই সরকার ই-জুডিশিয়ারির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ছিদ্দিক এন্টারপ্রইজের 'ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস)' আইনজীবীদের পেশাগত কাজে গতি আনবে বলে বিশ্বাস করি। এই উদ্যোগ সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আইনজীবীরা সঠিকভাবে তাদের চেম্বার ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবেন। এই পদ্ধতি উচ্চ আদালতে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজতর করবে।
প্রসঙ্গত, ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আইনাঙ্গনে মামলা ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনজীবীদের উচ্চ ও নিম্ন আদালতের মামলা এবং চেম্বার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ ও চমৎকারভাবে পরিচালনার জন্য অত্যাধুনিক সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে।